কাঁচা কলার স্বাস্থ্যগুণ

কাঁচা কলা খুবই পরিচিত এবং সহজলোভ্য একটি সবজি। কাঁচা কলায় রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট এবং ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি-এর আদর্শ উৎস। বেশ কিছু জটিল রোগের চিকিৎসাতেও কাঁচা কলার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু পেট খারাপ সারাতে নয়, বরং বেশ কিছু জটিল রোগের চিকিৎসাতেও কাঁচা কলার বিকল্প নেই। তাই নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জেনে নিন কাঁচা কলার উপকারিতা সম্পর্কে-

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে:
কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা একেবারেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই তো ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে কাঁচা কলা খেতে পারেন। তবে ইচ্ছা হলে এ বিষয়ে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতেই পারেন।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:
কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় তা রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি আর্টারির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, এতে হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। একই সঙ্গে নানা রোগ দূরে থাকতেও সাহায্য করে কাঁচা কলা।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:
কাঁচা কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর ব্লাড ভেসেলের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে শিরা-উপশিরায় তৈরি হওয়া প্রেসারকেও কমিয়ে ফেলে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগে না। আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে কোনো ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

পেট ঠাণ্ডা রাখে:
কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় তা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়ার কর্মক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে কাঁচা কলা। তাই শুধু পেট খারাপ নয়, যারা প্রায়ই গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা কাঁচা কলাকে কাজে লাগিয়ে আরোগ্য লাভ করতে পারেন।

পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর করে:
এক কাপ কাঁচা কলায় প্রায় ৫৩১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে, যা পেশির গঠনের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নার্ভ এবং কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। রক্তে যাতে কোনো ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান থাকতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে কাঁচা কলা।

ওজন হ্রাস করে:
কাঁচা কলায় উপস্থিত রেজিস্টেন্স স্টার্চ হজম হতে সময় নেয়। ফলে বহুক্ষণ ক্ষিদে পায় না। আর ক্ষিদে না পেলে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমতে শুরু করে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ ঘটে কম। আর এমনটা দীর্ঘ দিন ধরে যখন হতে থাকে, তখন ওজন কমতে সময় লাগে না।